তড়িৎযোজী ও সমযোজী বন্ধন কাকে বলে এখানে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
তড়িৎযোজী বন্ধন কাকে বলে ?
এক পরমাণু থেকে অন্য পরমানুতে ইলেকট্রনের পুরোপুরি স্থানান্তরের ফলে তরিতযোজী বন্ধনের সৃষ্টি হয়। একটি ধাতব মৌলের পরমাণু থেকে একটি অ-ধাতব মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের এই স্থানান্তর ঘটে ।এর ফলে একটি পরমাণু ইলেকট্রন হারায় এবং অন্যটি তা লাভ করে এবং পরমাণু দুটি বিপরীতধর্মী তড়িতাধানযুক্ত আয়নে পরিণত হয়। বিপরীতধর্মী আধানের দরুন দুই আয়নের মধ্যে যে প্রবল স্থিরতড়িতীয় আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে তার ফলে তরিতযোজী (বা আয়নীয়) বন্ধনের সৃষ্টি হয় ।এই বন্ধনজাত যৌগকে তড়িতযোজী বা আয়নীয় যৌগ বলে ।
সমযোজী বন্ধন কাকে বলে ?
এক বা একাধিক ইলেকট্রন – জোড়কে যদি দুই পরমাণুর উভয়েই মিলিতভাবে ব্যবহার করে তবে সমযোজী বন্ধনের সৃষ্টি হয়।সংশ্লিষ্ট পরমাণু দুটি অ-ধাতব পরমানু,কেননা প্রত্যেকটিরই রয়েছে ইলেকট্রন- ঘাটতি এবং উভয়েরই প্রবণতা হল ইলেকট্রন – অর্জন করা ।এক্ষেত্রে, ইলেকট্রনের স্থানান্তর সম্ভব নয় এবং পরস্পর মিলিতভাবে ইলেকট্রন – জোড় ব্যবহারের দ্বারাই উভয় পরমাণু বাইরের খোলকে 8 টি ইলেকট্রন লাভ করতে পারে ।
যেসব পরমানুর সর্বশেষ খোলকে 7,6 এবং 5 টি ইলেকট্রন থাকে তারা যথাক্রমে 1,2 এবং 3 জোড়া ইলেকট্রনকে মিলিতভাবে ব্যবহার করে সমযোজী অণু গঠন করে। পরমাণুর ইলেকট্রনের স্থানান্তর নঅ ঘটায় সমযোজী অণু অ – আয়নীয় । সমযোজী বন্ধনজাত যৌগকে সমযোজী বা আণবিক যৌগ বলে ।