বাস্পায়ন কাকে বলে

বাস্পায়ন কাকে বলে ?

এই পোস্টে আমরা বাস্পায়ন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাহার সহিত বাস্পায়ন এর উদাহরণ ও আলোচনা করেছি।

বাস্পায়ন কাকে বলে ?

যে কোনো উষ্ণতায় তরলের শুধু উপরিতল থেকে তরল ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হলে তাকে বাস্পায়ন বলে ।

বাস্পায়নের ফলেই গ্রীষ্ণে পুকুর, ডোবা ইত্যাদির জল শুকিয়ে যায় । কাপড় মেলে দিলে বাস্পায়নেই তা শুকোয় । থালায় কিচ্ছু জল রেখে দিলে দিন কয়েকে তা উবে যায় । সবই বাস্পায়ন ।

কিছু তরলের বাস্পায়ন আবার দ্রুত ঘটে । এদের উদ্ধায়ী তরল বলে । যেমন ইথার, অ্যালকোহল ।

বেশ কিছু তরল আবার ধীরে বাষ্পায়িত হয় । এদের অনুদ্ধায়ী তরল বলে । যেমন গ্লিসারিন ।

বাষ্পীভবন বা যৌগের বাষ্পীকরণ হল পদার্থকে তরল পর্যায় থেকে বাষ্পে পর্যায়ে রূপান্তর।

বাষ্পীভবনের দুটি প্রকার রয়েছে:

১. বাষ্পে পরিনত এবং 

২. ফুটন।

বাষ্পীভবন একটি পাত্রে ঘটে, যেখানে ফুটন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাষ্পীভবন হ’ল তরল পর্যায় থেকে বাষ্প পর্যায়ে রূপান্তর। বাষ্পীভবন পৃষ্ঠতলে ঘটে। বাষ্পীভবন তখনই ঘটে যখন কোনও পদার্থের বাষ্পের আংশিক চাপ ভারসাম্যের বাষ্পের চাপে চেয়ে কম থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, ক্রমাগত নিম্ন চাপের কারণে, দ্রবণ থেকে বের করে দেওয়া বাষ্পগুলি শেষ পর্যন্ত একটি ক্রায়োজেনিক তরলকে নীচে ফেলে রাখে।

ফুটন এছাড়াও তরল পর্যায় থেকে গ্যাস পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে রূপান্তর হয়। তবে ফুট্ন তরল পৃষ্ঠের নীচে একপ্রকার বাষ্প বুদবুদ হিসাবে বাষ্পের গঠন করে। উদ্বেগ ঘটে যখন পদার্থের ভারসাম্যীয় বাষ্পের চাপ পরিবেশগত চাপের চেয়ে বেশি বা সমান হয়। যে তাপমাত্রায় ফুটন্ত ঘটে তা হল ফুটন তাপমাত্রা। ফুটন তাপমাত্রা পরিবেশের চাপের সাথে পরিবর্তিত হয়।

বাষ্পীভবন শব্দটির তাৎপর্য হল বিস্ফোরক শক্তির সংস্পর্শে আসা কোন বস্তুর দৈহিক ধ্বংসকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।এটিতে একটি চালচলন বা হাইপারবালিক পদ্ধতিতেও ব্যবহৃত হয়েছিল। যেখানে বস্তুকে আক্ষরিক অর্থেই গ্যাসীয় আকারে রূপান্তরিত করার পরিবর্তে ছোট ছোট টুকরো করা হয়। এই ব্যবহারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৫২ সালের আইভী মাইক থার্মোনোক্লায়ারির পরীক্ষায় ইলুগেলাবের জনহীন মার্শাল দ্বীপের ” বাষ্পীকরণ “।