তাপমোচী পরিবর্তন ও তাপমোচী পদার্থ কাকে বলে ?
যে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় তাপ উৎপন্ন হয়, সেই পরিবর্তনকে তাপ – উৎপাদক বা তাপমোচী পরিবর্তন বলে । রাসায়নিক পরিবর্তনের ক্ষেএে তাপ উৎপন্ন ক’রে যে পদার্থ সৃষ্টি হয় তাকে তাপমোচী পদার্থ বলে ।
উদাহরন – জলের সঙ্গে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, H2SO4 যোগ করলে উৎপন্ন দ্রবণটি খুব গরম হয়ে ওঠে । এটি তাই একটি ভৌত পরিবর্তন ।
তাপমোচী পরিবর্তন ও তাপমোচী পদার্থের উদাহরণ –
চুনে জল দিলে এতো তাপ উৎপন্ন হয় যে, জল সশব্দে ফুটতে থাকে এবং বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়ম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হয় ।
CaO+H2O=Ca(OH)2+তাপ
কাজেই এটি একটি তাপমোচী রাসায়নিক পরিবর্তন এবং Ca(OH)2 একটি তাপমোচী পদার্থ।
তাপগ্রাহী পরিবর্তন ও তাপগ্রাহী পদার্থ কাকে বলে ?
যে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তণের সময় তাপ শোষিত হয় সেই পরিবর্তনকে তাপ – শোষক বা তাপগ্রাহী পরিবর্তন বলে। রাসায়নিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাপ শোষণ করে যে পদার্থ সৃষ্টি হয় তাকে তাপগ্রাহী পদার্থ বলে ।
তাপগ্রাহী পরিবর্তন ও তাপগ্রাহী পদার্থের উদাহরণ –
অ্যামোনিয়ম ক্লোরাইড (NH4CI) বা অ্যামোনিয়ম নাইট্রেটকে (NH4NO3) জলে দ্রবীভূত করলে তাপ শোষিত হয়। ফলে, দ্রবণটি ঠাণ্ডা হয়ে যায় । কাজেই,এটি হল একটি তাপগ্রাহী ভৌত পরিবর্তন।
আবার, নাইট্রোজেনের সঙ্গে অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় নাইট্রিক অক্সিইড উৎপন্ন হয় এবং বিক্রিয়াকালে প্রচুর তাপ শোষিত হয় ।
N2 +O2=2NO-তাপ
অতএব, এটি একটি তাপগ্রাহী রাসায়নিক পরিবর্তন এবং উৎপন্ন নাইট্রিক অক্সাইড একটি তাপগ্রাহী পদার্থ ।