তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের পার্থক্য

তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের পার্থক্য

তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের প্রধান পার্থক্যগুলি এখানে আলোচনা করা হল।

তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের পার্থক্য

তড়িৎযোজী যৌগসমযোজী যৌগ
1. সাধারণ উষনতায় কঠিন, কেলাসাকার ও ভঙ্গুর ।1. সাধারন উষ্ণতায় তরল বা গ্যাসীয়। কিছু মোমের মতো নরম সমযোজী যৌগ আছে ।
2. গলনাঙ্ক ও স্ফটনাঙ্ক সাধারণত বেশি হয় ।2. গলনাঙ্ক ও স্ফটনাঙ্ক অনেক কম।ব্যতিক্রম অতিকার অণুর যৌগ ।
3. সাধারণত জলে দ্রাব্য,কিন্তু জৈব দ্রাবকে অদ্রাব্য বা স্বল্প দ্রাব্য।3.সাধারণত জলে অদ্রাব্য, কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রাব্য। দ্রবণে আয়ন উৎপন্ন হয় না।
4. গলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহণ করে অর্থাৎ তড়িৎ – বিশ্লেষ্য।4.তড়িৎ পরিবহণ করে না। এই যৌগগুলো তড়িৎ – অবিশ্লেষ্য। ব্যতিক্রম HCl – এর জলীয় দ্রবণ ।
5. তড়িৎযোজী বন্ধন খুব দৃঢ় নয় এবং বন্ধনের কোনো অভিমুখ নেই।5. সমযোজী বন্ধন দৃঢ় এবং বন্ধনের নির্দিষ্ট অভিমুখ থাকে।
6. এই যৌগগুলোর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া খুব দ্রুত গতিতে ঘটে ।6. সমযোজী যৌগগুলোর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া অপেক্ষাকৃত ধীর গতিতে হয় ।
7. সমাবয়বতা ধর্ম নেই।7. সমাবয়বতা ধর্ম আছে ।