
আগের পোস্টে আমরা শক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই পোস্টে আমরা দুই প্রকার যান্ত্রিক শক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
গতিশক্তি কাকে বলে ?
কোনো বস্তু যদি তার গতিশীলতার জন্য কাজ করার সামর্থ্য অর্জন করে তবে তাকে গতিশক্তি বলে ।
যেমন – দেয়ালে পেরেক ঠুকতে হাতুড়ি দিয়ে তীব্র বেগে আঘাত করতে হয় । তবেই দেয়ালের বাধার বিরুদ্ধে পেরেক দেয়ালে ঢোকে । গতির জন্যই হাতুড়ি এই কাজ করার সামর্থ্য লাভ করে । এই শক্তিকে গতিশক্তি বলে ।
গতিশক্তির বৈশিষ্ট্য গুলি হল:
- গতিশক্তি হলো চলন্ত বস্তুর গতির কারণে অধিকৃত শক্তি।
- গতিশক্তি বেগের বর্গের সমানুপাতিক।
- বস্তুর দ্রুত দ্বিগুণ হলে এর গতিশক্তি চার গুণ হবে।
- গতিশক্তি নির্ণয়ের সূত্র হলো, নীট বল × সরল = গতিশক্তি।
- গতিশক্তি এবং স্থিতিশক্তির যোগফল হল যান্ত্রিক শক্তি।
- আপেক্ষিক পদার্থবিদ্যায় ভর ধ্রুবক নয়, তাই এর গতিশক্তি ও পরিবর্তিত হয়।
গতিশক্তির কিছু উদাহরণ:
পতনশীল বস্তু, দ্রুতগামী গাড়ি, ঘূর্ণায়মান পাথর, উড়ন্ত বিমান, প্রবাহিত জল, প্রবাহিত বাতাস, গতিশীল ক্রীড়াবিদ.
স্থিতিশক্তি কাকে বলে ?
কোনো বস্তু যদি তার অবস্থান বা আকৃতির দরুন কাজ করার সামর্থ অর্জন করে তবে তাকে তার স্থিতিশক্তি বলে ।
যেমন – ঘড়িকে দম দিলে ঘড়ির স্প্রিং গুটিয়ে সঙ্কুচিত হয় । আগের আকারে ফিরতে স্প্রিংটি ঘড়িকে সচল রাখে অর্থাৎ কাজ করে । সঙ্কুচিত আকৃতিতে স্প্রিং –এ সঞ্চিত শক্তি স্থিতিশক্তি ।