অসংপৃক্ত,সংপৃক্ত ও অতিপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে

অসংপৃক্ত,সংপৃক্ত ও অতিপৃক্ত দ্রবণ

অসংপৃক্ত,সংপৃক্ত ও অতিপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে উদাহরণ সহ আলোচনা করা হল।

গাঢ়তা অনুয়ায়ী দ্রবণের তিনটি শ্রেণী।যেমন অসংপৃক্ত,সংপৃক্ত ও অতিপৃক্ত দ্রবণ।

অসংপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে ?

কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় যে দ্রবণ আরও দ্রাব গ্রহণ করতে পারে এবং গ্রহণের ঘনত্ব বাড়ে তাকে অসংপৃক্ত দ্রবণ বলে ।

উদাহরণ – এক বীকার জলে এক চামচ চিনি ফেলে নাড়তে থাকলে দেখা যায়, কঠিন চিনি জলে দ্রবীভূত হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। আরো চিনি ঢাললে, দেখা গেল, সেটুকুও দ্রবীভূত হল এবং দ্রবণের ঘনত্বও বাড়লো। বোঝা গেল, চিনি দ্রবীভূত করার ক্ষমতা দ্রবণের এখনও রয়েছে। এরূপ দ্রবণকে অসংপৃক্ত দ্রবণ বলে।

সংপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে ?

কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবক-এ সর্বোধিক পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থেকে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে ঐ উষ্ণতায় সংপৃক্ত দ্রবণ বলে।

নির্দিষ্ট উষ্ণতায়,নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকের দ্রাব গ্রহণের একটি সর্বোচ্চ সীমা আছে। এক গ্লাস জলে ক্রমাগত চিনি যোগ করলে এক সময় দ্রবণটিকে অনেক নাড়ার পরেও কিছু চিনি দ্রবীভূত না হয়ে দ্রবণের নীচে পড়ে থাকবে।অর্থাৎ সর্বোচ্চ যে পরিমাণ চিনি ঐ উষ্ণতায় জলে দ্রবীভূত হয় তা পেরিয়ে গেছে এবং তাই কিছু চিনি অদ্রাব্য অবস্থায় রয়ে গেছে। এই দ্রবণকে সংপৃক্ত দ্রবণ বলে।
জলের পরিমাণ বাড়িয়ে জমা চিনিকে আবার দ্রবীভূত করা চলে। অর্থাৎ কোনো দ্রাবক-এ সর্বাধিক কতটা দ্রাব দ্রবীভূত হতে পারে তা দ্রাবকের পরিমাণের উপর এবং উষ্ণতার উপর নির্ভর করে।

অতিপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে ?

কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবক-এ যে পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থাকলে দ্রবণটি সংপৃক্ত হয়,যদি তার চেয়ে বেশি পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থাকে তবে সেই দ্রবণকে অতিপৃক্ত দ্রবণ বলে।

সংপৃক্ত দ্রবণকে স্থিরভাবে রেখে ক্রমশ ঠাণ্ডা করলে কখন কখন দেখা যায় যে,নিম্নতর উষ্ণতায় সংপৃক্ত দ্রবণ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত তার চেয়ে কম আসছে। অর্থাৎ এ অবস্থায় নিম্নতল উষ্ণতার সংপৃক্ত দ্রবণে যে পরিমাণ দ্রাব থাকার কথা তার অতিরিক্ত দ্রাব দ্রবীভূত রয়েছে । এই দ্রবণ অতিপৃক্ত।

অতিপৃক্ত দ্রবণ খুবই অস্থায়ী। দ্রবণটিকে সামান্য নাড়ালে বা দ্রবণে সামান্য দ্রাব যোগ করলেই দ্রবণ থেকে বাড়তি দ্রাব বেরিয়ে আসে এবং দ্রবণ আবার সংপৃক্ত হয়ে যায় ।দ্রবণের অতিরিক্ত গাঢ়তা দ্রাবের সংস্পর্শে হ্রাস পায়।