
গলন ও কঠিনীভবন এর সম্পর্কে আলোচনা করার পর এই পোস্ট এ আমরা পদার্থের ঘনীভবন বা তরলীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
ঘনীভবন কাকে বলে ?
বাস্পীয় অবস্থা থেকে পদার্থের তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে ঘনীভবন বা তরলীকরণ বলে ।
কেটলিতে জল ফোটালে কেটলির মুখ দিয়ে স্টীম বের হয়। তার সামনে ঠাণ্ডা কাচ বা ধাতব প্লেট ধরলে দেখা যায়, প্লেটের গায়ে বিন্দু বিন্দু জল জমেছে । ঠাণ্ডা প্লেটের সংস্পর্শে স্টীম ঘনীভূত হয়ে জলবিন্দু সৃষ্টি করে ।
ঘনীভবন এর বৈশিষ্ট্য:
- ঘনীভবন হল গ্যাসীয় পদার্থের অবস্থাকে তরল পর্যায়ে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া।
- ঘনীভবন বাষ্পীভবনের বিপরীত প্রক্রিয়া।
- ঘনীভবন প্রায়ই জলচক্রে দেখা যায়।
- ঘনীভবন ঘটে যখন জলীয় বাষ্পের অণুগুলি ঠান্ডা হয় এবং তরল জল হিসাবে একত্রিত হয়।
- ঘনীভবন ঘটে যখন উষ্ণ বায়ু ঠান্ডা পৃষ্ঠের সাথে সংঘর্ষ হয়।
- ঘনীভবনের সময় নির্গত তাপকে লীনতাপ বলা হয়।
- ঘনীভবনের বিভিন্ন প্রকরণ রয়েছে, যেমন অ্যালডল ঘনীভবন, নোভেইনজেল ঘনীভবন, ক্লাইসেন ঘনীভবন, ডাইকম্যান ঘনীভবন।
ঘনীভবনের উদাহরণ:
ঠান্ডা চশমার বাইরে, জানালার উষ্ণ পাশে, বাতাসে মেঘের মধ্যে.